Monday 7 December 2015

বাংলাদেশের জানা অজানা ৪টি রহস্যময় ঘটনা !

    এ এ রাফসানজানীঃ  রহস্যভরা এ পৃথিবীর অনেক রহস্য আছে
যার সঠিক কোন উত্তর কারো কাছে
নেই। একেকটা রহস্যময় ঘটনা সম্পর্কে
লোকমুখে কিছু কথা শোনা গেলেও সেই
রহস্যের কুলকিনারা কারো পক্ষেই করা
সম্ভব হয়নি। আমরা বিভিন্ন সময়
বিদেশী রহস্যময় ঘটনা বিভিন্ন জনের
মুখে শুনে থাকি, কিন্তু আমাদের
অনেকের পক্ষেই সেখানে যাওয়া সম্ভব
হয়ে ওঠে না, যাচাই করা সম্ভব হয় না,
ঠিক তেমনি বাংলাদেশেও আছে এমন
রহস্যাবৃত কিছু স্থান, যার রহস্যময় ঘটনা
আমাদের অনেকেরই অজানা। বিভিন্ন
সময় এ রহস্যময় ঘটনা গুলো সম্পর্কে অবগত
হয়ে উক্ত স্থানে গেলেও আসল রহস্য
কেউই আজ পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেনি।
তাই আপনাদের জন্য মুক্তমঞ্চ.কম খুঁজে
বের করলো সেই ঘটনাগুলো। দেখে নেই

রহস্যময় ঘটনা !
বাংলাদেশের জানা অজানা ৪টি
১। গানস অফ বরিশালঃ
গুগলে সার্চ দিলে এনসাইক্লোপিডিয়া
এবং এনসাইক্লোপিডিয়া অব
ব্রিটানিকার অনলাইন সংস্করনে
ইংরেজীতে বরিশাল গানস সম্পর্কে
জানতে পারবেন। বরিশালে ব্রিটিশরা
hhআসার সময় এর পূর্ব নাম ছিল বাকেরগঞ্জ।
বাকেরগঞ্জের তৎকালীন এক ব্রিটিশ
সিভিল সার্জন প্রথম ঘটনাটি লেখেন।
বর্ষা আসার আগে আগে গভীর সাগরের
দিক থেকে রহস্যময় কামান দাগার
আওয়াজ আসতো। ব্রিটিশরা সাগরে
জলদস্যু ভেবে খোঁজাখুজি করেও
রহস্যভেদ করতে পারে নাই। যে ঘটনা বা
যে শব্দ ব্রিটিশদের কাজে আজও
অজানা আজও রহস্যময়।

২। চিকনকালা :
মুরং গ্রামটা বাংলাদেশ-বার্মা নো
ম্যানস ল্যান্ডে। কাছের মুরং গ্রামের
চিকনকালার লোকেরা বলে প্রতিবছর
নাকি (দিনটা নির্দিষ্ট না) হঠাৎ বনের
ভিতর রহস্যময় ধুপ ধাপ আওয়াজ আসে।
murong-village-muktomoncho
শিকারীরা আওয়াজটা শুনলেই সবাই
দৌড়ে বন থেকে পালিয়ে আসে। কিন্তু
প্রতিবছরেই পালানোর সময় কয়েকজন
পিছে পড়ে যায়। যারা পিছে পড়ে
তারা আর ফিরে আসে না। কয়েকদিন
পরে বনে তাদের মৃত দেহ পাওয়া যায়।
শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। শুধু
চেহারায় ভয়ঙ্কর আতঙ্কের ছাপ। ছোট
বেলা আমরা আঞ্চলিক ছড়া বা প্রবাদ
প্রবচনে শুনতাম আগে গেলে বাঘে খায়,
পিছে গেলে সোনা পায়, কিন্তু
চিকনকালার এই রহস্যময় ঘটনা উল্টোটাই
মনে করিয়ে দেয় আমাদের।
1442378098
৩। বগা লেকঃ
কেওকারাডং এর আগে রুপসী বগা লেক।
বম ভাষায় বগা মানে ড্রাগন। বমদের
রুপকথা অনুযায়ী অনেক আগে এই পাহাড়ে
এক ড্রাগন বাস করতো। ছোট ছোট
বাচ্চাদের ধরে খেয়ে ফেলতো।
গ্রামের লোকেরা ড্রাগনকে হত্যা
করলে তার মুখ থেকে আগুন আর প্রচন্ড শব্দ
হয়ে পাহাড় বিস্ফোরিত হয়। রুপকথার
ধরন শুনে মনে হয়, এটা একটা
আগ্নেয়গীরির অগ্ন্যুতপাত এর স্থান।
উপজেলা পরিষদের লাগানো
সাইনবোর্ডে সরকারী ভাবে এই রহস্যের
কথা লেখা। এখনো এর গভীরতা কেউ
বলতে পারে না। ইকো মিটারে ১৫০+
প্রজাতির জলজ ও উদ্ভিদ পাওয়া গেছে।
প্রতিবছর রহস্যময় ভাবে বগা লেকের
পানির রঙ কয়েকবার পালটে যায়। যদিও
কোন ঝর্না নেই তবুও লেকের পানি
চেঞ্জ হলে আশপাশের লেকের পানিও
চেঞ্জ হয়। হয়তো আন্ডার গ্রাউন্ড রিভার
থাকতে পারে। কিন্তু পাহাড়ের চূড়ায়
নদী আসবে কোথা থেকে এই প্রশ্নের
উত্তর কেউ দিতে পারেনি তাই বগা
লেকের এই রহস্য ভেদ হয়নি এখনো।


images৪। সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড:
পদ্মা এবং যমুনা নদীর রাশি রাশি পানি
একসাথে প্রবাহিত হয়ে চাঁদপুরের
মেঘনা নদীতে মিশে যায়, তারপর
মেঘনা নদী যেখানে সাগরে মিশেছে
জায়গাটাকে বলে সোয়ার্জ অফ নো
গ্রাউন্ড বা অতল স্পর্শী। গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ
গঠনের পর থেকেই দু’মুখী স্রোতের
ঠেলায় তলার মাটি সরে যাচ্ছে ক্রমশ।
এখানে পদ্মা, মেঘনা এবং যমুনা নদীর
সম্মিলিত জলরাশি একসাথে এসে পরায়
প্রচন্ড স্রোতের কারনে গভীরতা
পরিমাপ করা যায়নি কখনো।

No comments:

Post a Comment